Tin Goyenda Series Vol - 2.1 by Rakib Hasan | তিন গোয়েন্দা ভলিউম ২.১  - রকিব হাসান

Tin Goyenda Series Vol - 2.1 by Rakib Hasan | তিন গোয়েন্দা ভলিউম ২.১ - রকিব হাসান

Size
Price:

Read more

   




নাম: তিন গোয়েন্দা ভলিউম ২.১

Title: Tin Goyenda Series Vol - 2.1

Author: Rakib Hasan

লেখকঃ রকিব হাসান

Publishing:  Sheba Prokashoni

প্রকাশনীঃ সেবা প্রকাশনি 

price/৳25.00

size/pdf

off/50%

তিন গোয়েন্দা ভলিউম ২/১ পিডিএফ বাংলা বই। তিন গোয়েন্দা ভলিউম ২/১ – রকিব হাসান এর লেখা বিখ্যাত গোয়েন্দা কিশোর উপন্যাস।

হ্যালো, বন্ধুরা আমি কিশোর পাশা বলছি, আমেরিকার রকি বীচ থেকে। জায়গাটা লস অ্যাঞ্জেলেসে, প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে, হলিউড থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে। যারা এখনও আমাদের পরিচয় জান না, তাদের বলছি, আমরা তিন বন্ধু একটা গোয়েন্দা সংস্থা খুলেছি, নাম তিন গোয়েন্দা। আমি বাঙালী। থাকি চাচা-চাচীর কাছে। দুই বন্ধুর একজনের নাম মুসা আমান, ব্যায়ামবীর, আমেরিকান নিগ্রো; অন্যজন আইরিশ আমেরিকান, রবিন মিলফোর্ড, বইয়ের পোকা। একই ক্লাসে পড়ি আমরা। পাশা স্যালভিজ ইয়ার্ডে লোহা-লক্কড়ের জঞ্জালের নিচে পুরানো এক মোবাইল হোম-এ আমাদের হেডকোয়ার্টার। তিনটি রহস্যের সমাধান করতে চলেছি এসো না, চলে এসো আমাদের দলে।

“তিন গোয়েন্দা ভলিউম ২/১” বইটির প্রথম দিকের কিছু কথা
তারিখ । যাওয়া দরকার।
ভ্রূকুটি করলেন মেরিচাচী। জানেন, বাধা দিয়ে লাভ হবে না, যাবেনই রাশেদ পাশা। আশপাশে যেখানে যখন পুরানো জিনিসপত্র নিলাম হয়, তার যাওয়া চাইই। যা পান, কিনে এনে তূপ দেন পাশা স্যালভিজ ইয়ার্ডে। দেখে মনে হয়, অদরকারী। জিনিস, কিন্তু এসব জিনিসেরও দরকার পড়ে লোকের, কিনতে আসে তারা। বেশ ভালই লাভ পুরানো জিনিসে। তবে এমন সব জিনিসও নিয়ে আসেন রাশেদ চাচা, যেগুলো একেবারেই বাতিল। হয়তো কোনদিনই বিক্রি হবে না, সেসব নিয়েই মেরিচাচীর আপত্তি। কিন্তু চাচীর কথায় গোঁড়াই কেয়ার করেন চাচা। ‘ক্যাসটিলোর জিনিসপত্র সব বেচে দেবে ওরা, আবার বললেন চাচা। ‘এমনকী, এই ক্রিস্টাল বলটাও,’ ছবিতে আঙুল রাখলেন। ‘দা ভ্যাম্পায়ারস লেয়ারে ব্যবহার করা হয়েছিল এটা। ‘ওসব অ্যানটিক জিনিস কেনার মানুষ আলাদা, তাদের আলাদা ব্যবসা, প্রতিবাদ করলেন চাচী । তা ছাড়া দামও নিশ্চয় অনেক উঠবে। . তা উঠবে, কাগজটা এক পাশে সরিয়ে রাখলেন চাচা। অ্যানটিক যারা জোগাড় করে, তারা তো পাগল হয়ে ছুটে আসূবে।’
‘তা হলে আর গিয়ে কী করবে? উঠে টেবিল পরিষ্কার করতে শুরু করলেন চাচী। কাপ-প্লেটগুলাকে নিয়ে গিয়ে সিংকে চুবিয়ে রাখলেন। একটা একটা করে তুলে ধুয়ে মুছে সাজিয়ে রাখতে লাগলেন তাকে। পথে ঘোড়ার খুরের শব্দ হতেই কান পাতলেন। “ওই যে, পারকারদের মেয়েটা যাচ্ছে।’


জানালার কাছে এসে দাঁড়াল কিলাের। হ্যা, পারকারদের মেয়েটাই। অন্য দিনের মতই ঘোড়ায় চেপে চলেছে। চমৎকার একটা মাদী আপালুসা, বাদামী ললাম থেকে যেন তেল চুইয়ে পড়ছে। লেজের কাছে খানিকটা সাদা ছাপে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে ঘোড়াটাকে। খুব সুন্দর!’ আপন মনেই বলল কিশোর । আপালুসা আরও দেখেছি, কিন্তু এমনটি দেখিনি!’ ঘোড়ার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করল কিশোর, কিন্তু আরোহিণীর ব্যাপারে কোন মন্তব্যই করল না। মাথা উঁচু করে বসে আছে মেয়েটা, নজর সামনে, ডানে-বাঁয়ে কোন দিকেই ফিরছে না। ‘সৈকতে যাচ্ছে বোধহয়, কাজ করতে করতেই বললেন মেরিচাচী, ‘দৌড় করাতে। মেয়েটা বড় বেশি একা। রুজের কাছে শুনলাম, বাবা-মা ইউরোপে থাকে।’ ‘জানি,’ বলল কিশোর। সে আরও জানে, পারকারদের বাড়ি দেখাশোনা করে রুজ, মেয়েটাকেও। বিকেলে প্রায়ই ইয়ার্ডে আসে রুজ, মেরিচাচীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করে। আশপাশে ঘুরঘুর করে তখন কিশার, কথা শোনে।
মাস কয়েক আগে মোড়ের কাছের পুরনো প্রাসাদটা কিনেছেন মিস্টার পারকার। আগে যা ছিল তা-ই রয়েছে বাড়িটা, সরানো দরকার মনে করেননি তিনি। কিশোর জানে, বাড়িটার খাবার ঘরে পুরানো আমলের মস্ত এক ঝাড়বাতি ঝোলানো আছে। বাতিটা আগে ছিল ভিয়েনার এক জমিদারের প্রাসাদে। জানে, মিসেস পারকারের একটা হীরের হার আছে, ওটার আগের মালিক ছিল, ইউজেনি-র।

যোগাযোগ ফর্ম

Name

Email *

Message *