Read more
নাম: শহীদ তিতুমীর - আলমগীর হােসেন খান
Title: Shahid Titumir - Alomgir Hossain Khan
Author: Alomgir Hossain Khan
লেখকঃ আলমগীর হােসেন খান
Publishing: আত্মজীবনী
প্রকাশনীঃ জীবনী গ্রন্থ
আজ আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক। নিজেদের ইচ্চামতো চলতে পারি। ফিরতে পারি। ভাবতে পারি। কাজ করতে পারি। কিন্তু আমাদের এই স্বাধীনভাবে চলা- ফেরা -চিন্তা-ভাবনা করা ও কাজ করা এক সময়ে কোনোক্রমেই সম্ভব ছিল না। কেননা এদেশ ছিল পরাধীন অর্থাৎ পরের অধীন। এদেশে ইংরেজ এবং হিন্দু জমিদার, নীল কর হিন্দু রাজা মহারাজারা তাদের নিজ নিজ খেয়াল খুশি মতো শাসন করতো। সাধারণ মানুষদের উপর চালাতে নির্মম অত্যাচার-অবিচার-নির্যাতন ও শোষণ।
একদিকে ইংরেজ ও নীলকর, হিন্দু রাজা মহারাজাদের অত্যাচারে অন্যদিকে ধর্মীয় গোড়ামীর কুপ্রভাব-এসবের যাতাকলে পড়ে এক সময়ে মুসলমান সমাজ বিশেষ করে উত্তরবঙ্গ ও পূর্ব বঙ্গের মুসলমানরা সময়ে মুসলমান সমাজকে জাগিয়ে তোলা ও তাদের বাচাঁর পথ দেখানোর জন্য কয়েকজন মহান পুরুষের আবির্ভাব ঘটে, তাদের মধ্যে তিতুমীর একজন। তিতুমীরের জন্মের পূর্বে এদেশ নানা প্রকার অত্যাচার-অনাচার ও অবিচারের ঘোর অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল। হিন্দু, শিখ, ইংরেজ ও নীলকরদের জোর-জুলুম ও শোষণের কথা বাদ দিলেও সারা ভারতবর্ষ জুড়ে মগ, মগ, ঠগ, পিনডারী, জাঠ, বর্গী প্রভৃতি দস্যুদের অকথ্য অত্যাচার নির্মমভাবে চলছিলো।
তিতুমীর কি ভাবে মাথা তুলে দাড়ান, দেশও ধর্মকে এসব জোর-জুলুম নিপীড়ন-নির্যাতন ও শাসন- শোষণের হাত থেকে উদ্ধার করতে উত্তর ভারতে মাথা তুলে দাড়ান তিতুমীর ও পূর্ব ভারতের দাড়ান সৈয়দ আহমদ খান। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, এরেদ আরদ্ধ কাজ শেষ হওয়ার আগেই মর্মান্তিকভাবে তারা শাহাদাত বরণ করেন।
তবে তারা মুক্তিও স্বাধীনতার যে প্রদীপ জালিয়ে গিয়েছিলেন, তা ছিল অনিবার্ণ। তা কখনও নিভে যায়নি। সেই অনিবার্ণ শিখাই পরবর্তী প্রজন্মকে বার বার পথ দেখিয়ে দিয়েছে স্বাধীনতার দিকে।
১৮৫৭ সালের সিপাহী বিপ্লবের মূলেও ছিল স্বাধীকার ও স্বাধীনতা আন্দোলন । এ আন্দোলনকে সংযত ও সংহত করে মুসলমানদের ন্যায্য দাবি আদায় করে এবং তাদের উন্নতির সঠিক পন্থা প্রদর্শন করেন আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা স্যার সৈয়দ আহমদ খান।
size/pdf
off/50%